বৃহস্পতিবার ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম

বৃহস্পতিবার ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

নির্বাচন ইস্যুতে দুই মেরুতে বিএনপি-জামায়াত

রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
3 ভিউ
নির্বাচন ইস্যুতে দুই মেরুতে বিএনপি-জামায়াত

কক্সবাংলা ডটকম(১৫ সেপ্টেম্বর) :: রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে মতের মিল থাকলেও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা ইস্যুতে বড় দুই রাজনৈতিক দল বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী বিপরীত মেরুতে অবস্থান করছে। সম্প্রতি তৃণমূল থেকে শুরু করে দল দুটির শীর্ষ নেতাদের বক্তব্য ও কথাবার্তায়ও নানা বিষয়ে বৈরীভাব স্পষ্ট হয়েছে। যেটি প্রকাশ্যে আসে গত আগস্টের মাঝামাঝি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে নির্বাচন আয়োজনে সময় দেওয়া নিয়ে শীর্ষ নেতাদের বাহাস চলছে। তাদের বক্তব্যেই তা ফুটে উঠছে। মূলত ক্ষমতায় যাওয়ার লক্ষ্যে বড় দুই দলই যার যার অবস্থান থেকে তৎপরতা চালাচ্ছে।

ছাত্র-জনতার সফল গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার দেশত্যাগের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। এরপর গত ৮ আগস্ট রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর রাষ্ট্র সংস্কারের দাবি উঠেছে সর্বস্তরে। শুরুতে সরকারকে তিন মাসের সময় দেওয়ার কথা বললেও পরে দলটির নেতারা জাতীয় নির্বাচনের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে ‘যৌক্তিক’ সময় দেওয়ার কথা জানান।

তবে বিএনপির দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সঙ্গী জামায়াতে ইসলামী তাড়াহুড়ো না করে টেকসই সংস্কারের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পর্যাপ্ত সময় দিতে চায়। এসব ছাড়াও এখন আরও কিছু ভিন্ন ইস্যু এতেযোগ হয়েছে। অবশ্য দুই দলের মাঝে আর রাজনৈতিক জোট নেই। অনেকেই বলছেন, এসব ঘটনার মধ্য দিয়ে বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে দূরত্ব বাড়ছে। দীর্ঘদিন একসঙ্গে আন্দোলন করা দল দুটি এখন যেন মুখোমুখি অবস্থানে।

এ ছাড়া পটপরিবর্তনের পর রাজনৈতিক দলের কর্মকাণ্ড নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা বিভিন্ন বক্তব্য দিচ্ছেন, তা পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি বিভিন্ন ইস্যুতে কথা বলার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বনের কৌশল নিয়েছে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ছেড়ে কথা বললেও একেবারে চুপ থাকছেন না দল দুটির নেতারা।

এদিকে ছাত্র-জনতার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে দেশের মৌলিক ছয়টি খাতে কাঠামোগত সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। গত বুধবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এ পদক্ষেপের কথা জানান ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সংবিধান, নির্বাচন, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কারে কমিশন গঠনের ঘোষণা দেন তিনি।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর আওয়ামী লীগও মাঠে নেই। রাজনীতির মাঠে একধরনের শূন্যতা তৈরি হয়েছে। ফাঁকা জায়গায় একটি বড় শক্তি হিসেবে রাজনীতিতে সামনে আসার লক্ষ্যে নানামুখী তৎপরতা চালাচ্ছে জামায়াত।

এদিকে শেখ হাসিনার পতনের পর দীর্ঘ ২৫ বছরের রাজনৈতিক মিত্রদের মধ্যে হঠাৎ কেন এমন বৈরী সম্পর্ক তৈরি হলো, সেটি নিয়েও নানা প্রশ্ন দেখা দিচ্ছে। গত সপ্তাহে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেবেন না—এমন একটি বক্তব্য দেন। সেই বক্তব্য নিয়েও বিএনপির মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। তবে দুই দলের পক্ষে বলা হচ্ছে তারা ভিন্ন আদর্শ ও লক্ষ্যে রাজনীতি করেন। বিএনপি-জামায়াত দুটি আলাদা রাজনৈতিক দল।

সাম্প্রতিক বক্তব্যে নানা আলোচনা

জানা গেছে, গত বছর দেলাওয়ার হুসাইন সাঈদীর মৃত্যুতে বিএনপির শোক এবং তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানের সাজার প্রতিবাদে জামায়াতের বিবৃতির পর দুই দল পরস্পরের কাছাকাছি আসতে শুরু করে। সর্বশেষ জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার তুমুল আন্দোলনের সময় জাতীয় ঐক্যের আহ্বানে সাড়া দিলে জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্ক আরও নিবিড় হয় বিএনপির।

কিন্তু ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা নিয়ে উভয় দলের মাঝে মতপার্থক্য তৈরি হয়। বিএনপি নির্বাচন নিয়ে রোডম্যাপ জানতে অতিদ্রুত সংলাপের দাবি জানালেও ভিন্ন অবস্থান নেয় জামায়াত।

গত ৩ সেপ্টেম্বর ঢাকায় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, গত ১৫ বছরে জামায়াতে ইসলামীর ওপর আওয়ামী লীগ সরকার ‘নির্যাতন’ করেছে। তার জন্য প্রতিশোধ না নিয়ে ক্ষমা করে দেওয়ার ঘোষণা দেন তিনি। তার ওই বক্তব্য নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেখা যায় রাজনীতির মাঠে।

যদিও এক দিন পরে পৃথক অনুষ্ঠানে জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান স্পষ্ট করে বলেন, প্রতিশোধ না নেওয়ার মানে হচ্ছে আমরা আইন হাতে তুলে নেব না। কিন্তু সুনির্দিষ্ট অপরাধ যিনি করেছেন, তার বিরুদ্ধে মামলা হবে। শাস্তিও হতে হবে।

জামায়াত আমিরের এসব বক্তব্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা দেয় বিএনপিতে। গত ২৮ আগস্ট গুলশানে দলীয় চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমি আগেই বলেছি, এটা সুপরিকল্পিত একটা চক্রান্ত। কারণ, আমরা তো এক-এগারোর কথা ভুলে যাইনি।

এক-এগারোতে যেটা হয়েছিল, বিরাজনীতিকীকরণের প্রচেষ্টা। যাদের জনসমর্থন নেই, জনগণ মনে করে না যে, এরা সরকার চালাতে পারবে। তারা এ ধরনের বিভিন্ন চিন্তাভাবনা করে, আমি কোনো দলের নাম বলছি না। সবচেয়ে বড় জিনিস হচ্ছে, আমাদের লড়াইটা গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য। সেটার জন্যই তো নির্বাচন। আমরা তো নির্বাচনের জন্যই এতদিন লড়াই করেছি।

জামায়াতকে ইঙ্গিত করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার যে বাতিল করা হলো, এর জন্য ওই দলগুলো মিলেই তো আমরা আন্দোলন করেছি। অনেককে নির্যাতন ভোগ করতে হয়েছে। এমনকি তাদের অফিস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এখন ওই বিষয়কে বাদ দিয়ে আমি তো অন্য রাজনৈতিক চিন্তা এ মুহূর্তে করব না।

গত ৮ সেপ্টেম্বর সাতক্ষীরায় বিএনপির এক সমাবেশে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি বক্তব্যে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সরাসরি জামায়াতে ইসলামীর নাম উল্লেখ না করলেও দলটির আমিরের বক্তব্যের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গত কয়েকদিনে দেখেছি কিছু রাজনৈতিক দল একটি প্রতিবেশী দেশের ফাঁদে পা দিয়েছে।

সে কারণে তারা বিভ্রান্ত ছড়ায়—এ রকম কিছু কথাবার্তা বলছে। এমন অবস্থায় নেতাকর্মীদের সজাগ থাকারও আহ্বান জানান তিনি। এ ছাড়া জামায়াতের আমিরের এসব বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীও।

নির্বাচন ইস্যুতে বিপরীতমুখী অবস্থান

গত ৮ আগস্ট জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ওই ভাষণে জাতীয় নির্বাচন কবে কিংবা নির্বাচন কতদিন পর হতে পারে—এমন কোনো বিষয়ে স্পষ্ট বার্তা ছিল না। যে কারণে এই বক্তব্য নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল বিএনপি। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে নির্বাচনের রোডম্যাপ না থাকায় অসন্তোষ জানান।

এমন অবস্থায় বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্যের সমালোচনা করে জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান বলেন, এখনো শত শত মানুষ হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছে। রক্তের দাগ মোছেনি। বন্যায় দেশ আক্রান্ত। এই সময়ে কেউ নির্বাচন নির্বাচন জিকির তুললে জাতি তা গ্রহণ করবে না।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জামায়াত নেতার এই বক্তব্য ভালোভাবে নেয়নি বিএনপি। দলটি নির্দিষ্ট সময় না বললেও দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করে নির্বাচন চায়। কারণ, নির্বাচিত সরকার ছাড়া দেশে স্থিতিশীলতা আসবে না। আর জামায়াতে ইসলামী অন্তর্বর্তী সরকারকে সময় দিতে চায়। কারণ, আওয়ামী লীগের আমলে গত ১৬ বছরে দলটি সাংগঠনিকভাবে এগোতে পারেনি। এখন সরকারকে সময় দেওয়ার পাশাপাশি নিজেদের প্রার্থী ঠিক করাসহ ভিত্তি মজবুত করতে চায়।

মতবিরোধের আরও যেসব কারণ

জানা যায়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর প্রশাসন, পুলিশ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে আওয়ামী লীগ সমর্থিতরা সরে যাচ্ছেন। সেসব জায়গায় নিজস্ব লোকের পদায়ন নিয়ে বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যেও এক ধরনের নীরব মনোমালিন্য চলছে। বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি পদে নিয়োগ নিয়ে এই জটিলতা দেখা দেয় গত মাসে।

এ ছাড়া জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযমের ছেলে আবদুল্লাহিল আমান আযমী গুম অবস্থা থেকে ফেরত আসার পর গত সপ্তাহে জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের দাবি তোলেন। বিএনপি সমর্থকদের অনেকেই এর কড়া সমালোচনা করেন। এসব নানা ইস্যুতে দল দুটির মধ্যে গত এক মাসে দূরত্ব বেড়েছে অনেকটা।

বিএনপি-জামায়াত সম্পর্কের আড়াই দশক

দীর্ঘ ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ প্রথম ক্ষমতায় আসার পর থেকেই আওয়ামী লীগের সঙ্গে বেশ বিরোধপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয় জামায়াতের। এরপর বিরোধী রাজনৈতিক দল বিএনপির সঙ্গে ১৯৯৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর জোট বাঁধে জামায়াতে ইসলামী।

২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বাধীন চারদলীয় ঐক্যজোট রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসার পর থেকে বিভিন্ন ইস্যুতে দল দুটির মধ্যে কিছু টানাপোড়েন তৈরি হলেও জোট নিয়ে কোনো ধরনের সংকট তৈরি হয়নি। ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও একসঙ্গে অংশ নেয় দল দুটি।

২০০৯ থেকে ২০২৪ একটানা সাড়ে ১৫ বছর রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় আওয়ামী লীগ বিএনপি-জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের বিচারের মুখোমুখি করেছে। যুদ্ধাপরাধ ইস্যুতে জামায়াতের শুধু না বিএনপিরও এক নেতার ফাঁসি হয়েছে। ক্ষমতা ছাড়ার আগ পর্যন্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াও সাজাপ্রাপ্ত হয়ে গৃহবন্দি ছিলেন। এই সময় জামায়াত-বিএনপির মধ্যে নানা সংকট হলেও রাজনৈতিক জোট ছিল দুই বছর আগ পর্যন্ত। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে দুই দল আনুষ্ঠানিকভাবে জোট ভেঙে দিয়ে সরকার পতনের যুগপৎ আন্দোলন শুরু করে।

৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার পতনের পরই সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক, নতুন সরকার গঠন প্রক্রিয়া কিংবা শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান—সব জায়গায় বিএনপি ও জামায়াত একসঙ্গেই অংশ নিয়েছে। তাদের সঙ্গে ছিল গত ১৫ বছরে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে থাকা অন্য আরও কয়েকটি রাজনৈতিক দল। কিন্তু এক মাসের মাথায় নানা ইস্যুতে দল দুটির মতবিরোধ রাজনীতির মাঠে আলোচনার অন্যতম বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

দুই দলের নেতারা যা বলছেন

দুটি দলের শীর্ষ পর্যায়ে পাল্টাপাল্টি বক্তব্যের বিষয়ে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, আমরা মনে করি, আমাদের মধ্যে কোনো দূরত্ব বা টানাপোড়েন নেই। যারা এ ধরনের কথা বলছেন, তার ব্যাখ্যা তারাই দিতে জানেন। বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আমাদের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে।

নির্বাচন ইস্যুতে বিপরীতমুখী অবস্থান নিয়ে দলের অবস্থান স্পষ্ট করে তিনি বলেন, নির্বাচনের সময় আসুক, ঘোষণা হোক, তখন রোডম্যাপ ও ইশতেহারের প্রশ্ন আসবে। এখনো সেই সময়টা ম্যাচিউরড হয়নি। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে বিভিন্ন সংশোধন ও সংস্কারে মিনিমাম একটা সময় লাগবে সরকারের। এজন্য আমরা বলেছি একেবারে অল্প সময় দিলেও তারা পেরে উঠবে না, একটা যৌক্তিক সময় দেওয়ার কথাই জামায়াত বলছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, জামায়াত অন্য রাজনৈতিক দলের মতোই একটা দল। বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের বিরোধের প্রশ্ন আসবে কেন? অনেক নেতা বক্তব্য দিতে পারে, অন্যদের দিকে তাকিয়ে থাকার দরকার হয় না, আমরা আমাদের মতো করে পলিটিক্স করছি। মৌলিক কয়েকটি বিষয়ে সংস্কারের লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকারকে একটা যৌক্তিক সময় তো দিতেই হবে।

বিশ্লেষক যা বলেন

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক কাজী মোহাম্মদ মাহবুবুর রাহমান মনে করেন, রাজনৈতিক দলের ভিন্নতা থাকতেই হবে। তবে, যে উদ্দেশ্যে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়েছে, সেই বৃহত্তর লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে যাওয়া উচিত। আওয়ামী লীগ যখন প্রতিপক্ষ ছিল, তখন বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে একটা জোট ছিল। রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ না থাকায় এখন ভিন্ন সমীকরণে এই মতপার্থক্য থাকা অস্বাভাবিক নয়।

3 ভিউ

Posted ৪:৩৫ অপরাহ্ণ | রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

coxbangla.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

Editor & Publisher

Chanchal Dash Gupta

Member : coxsbazar press club & coxsbazar journalist union (cbuj)
cell: 01558-310550 or 01736-202922
mail: chanchalcox@gmail.com
Office : coxsbazar press club building(1st floor),shaheed sharanee road,cox’sbazar municipalty
coxsbazar-4700
Bangladesh
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
বাংলাদেশের সকল পত্রিকা সাইট
Bangla Newspaper

ABOUT US :

coxbangla.com is a dedicated 24x7 news website which is published 2010 in coxbazar city. coxbangla is the news plus right and true information. Be informed be truthful are the only right way. Because you have the right. So coxbangla always offiers the latest news coxbazar, national and international news on current offers, politics, economic, entertainment, sports, health, science, defence & technology, space, history, lifestyle, tourism, food etc in Bengali.

design and development by : webnewsdesign.com